Responsive Advertisement
|

সিলেটে ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার আসামি নির্বাহী প্রকৌশলীরা!


সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপর সশরীরে হামলার অভিযোগ এনে গত ১২ মার্চ সরকারি কর্মকর্তা, প্রবাসী, বিএনপি ও জামায়াত ঘরানার অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন শেখ শফিউর রহমান কায়েছ নামের একজন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় ৩২ নম্বর আসামি এলজিইডি সিলেটের সহকারী প্রকৌশলী (পুর) আবুল হাসান শোভন, ৪৮ নম্বর আসামি সওজ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন, ৫২ নম্বর আসামি পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস, ৬০ নম্বর আসামি এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম ফারুক হোসেন, ৭০ নম্বর আসামি স্বাস্থ্য প্রকৌশল সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান, ৭১ নম্বর আসামি গোলাপগঞ্জ উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুল হাসান, ৭৮ নম্বর আসামি জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস সিলেটের উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার গোলাম মোস্তফা লিটন এবং ৮৬ নম্বর আসামি অবসরপ্রাপ্ত সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুল হাই আজাদ। ৬৪ নম্বর আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। বাদীর দাবি, ঘটনার সময় ও তারিখে সব আসামি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা গত বছরের ১৮ জুলাই বিকেলে সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট পয়েন্ট এলাকায় ছাত্রজনতার মিছিলে হকিস্টিক, চাপাতি, দা ও রামদা দিয়ে হামলায় অংশ নেন। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০-১৫০ জনকে।

নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস ও শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের কেন মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করা হবে? ওইদিন কোনো ঘটনা ঘটে থাকলেও আমরা সেখানে ছিলামই না। মামলার বাদীকেও আমরা চিনি না। 

মামলার বাদী শেখ শফিউর রহমান কায়েছ বলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেন্ট্রাল থেকে মামলা করছি। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট মহানগরের কর্মী। মামলার আসামিদের বিষয়ে জানতে চাইলে কায়েছ বলেন, আমার সাক্ষীরা এসব নাম সংগ্রহ করে দিয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন,  আদালত থেকে নথিপত্র এলে নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন